Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ই-মিউটেশন

নামজারী বা মিউটেশন কি, কাকে বলে, অনলাইন মিউটেশন করার পদ্ধতি ও ই নামজারি করার নিয়ম

নামজারী বা মিউটেশন কি, কাকে বলে, অনলাইন মিউটেশন করার পদ্ধতি ও ই নামজারি করার নিয়ম







Rate this post

যারা কোন নতুন জমি ক্রয় করেছেন এবং পরবর্তীতে এই জমির জন্য আলাদাভাবে খতিয়ান খুলতে চান ভূমি অফিসে, তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা এই পোস্টটি প্রথম থেকে মনোযোগ দিয়ে পড়বেন এবং এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে যাবেন বলে মনে করি।

এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা জমি খারিজ করা বা মিউটেশন করা বা নামজারি করার যাবতীয় তথ্যাবলী পেয়ে যাবেন এবং এগুলো করার নিয়মাবলী এবং করতে কত টাকা খরচ হয় তাও জানতে পারবেন। তাই যারা নতুন জমি কিনেছেন অথবা উত্তরাধিকারসূত্রে নতুন জমি পেয়েছেন, তারা অবশ্যই এই পোস্টটি পড়ে নিবেন এবং খুব দ্রুত আপনার জমি খারিজ করে নিবেন বা মিউটেশন করে নেবেন। তাহলে চলুন আমরা এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ধাপে ধাপে জেনে নিই।


মিউটেশন মানে কি

যখন আপনার নামে কোন জমি সরকারি ভূমি অফিসে রেজিস্টার্ড হয়ে গেল, তখনও কিন্তু আপনার নামে সেই জমি পুরোপুরিভাবে রেজিস্টার্ড হয়নি। যখন আপনি ভূমি অফিসে কোন জমি কিনে অথবা উত্তরাধিকারসূত্রে আপনি কোন জমি যখন পেয়ে গেলেন তখন তার জন্য আপনাকে আবার নতুন করে নামজারি করতে হবে বা মিউটেশন করতে হবে। জমি রেজিস্ট্রি হওয়ার কিছুদিন পরেই আপনারা যখন জমির নকল দলিল তুলে ভূমি অফিসে কাজ করতে দেবেন অথবা নামজারি করতে দিবেন তখনই সেটা হয়ে যাবে মিউটেশন।

অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে 

অনলাইন টাকা ইনকাম করার প্রক্রিয়া বা কিভাবে টাকা আয় করবেন


অর্থাৎ জমি ক্রয়ের পরে সেই জমির খতিয়ান কিন্তু আগের মালিকের নাম থেকে থাকে। তাই আগের মালিকের এ খতিয়ান থেকে সে খতিয়ান আপনার নামে খুলতে হবে এবং খতিয়ান তোলার মাধ্যমে আপনার জমির আলাদাভাবে দাগ নাম্বার ও পর্চা নাম্বার আলাদা হবে নির্ধারণ করা হবে।

আপনি জমি কিনে শুধু দখল নিল বা রেজিস্ট্রি করলেই হবে না। তাই জমির পুরোপুরি স্বত্বাধিকার পেতে আপনাকে অবশ্যই খুব দ্রুত মিউটেশন করে নিতে হবে। তাছাড়া পারিবারিকভাবে যখন তুমি ভাগবাটোয়ারা হয়ে থাকে তখন ভাগবাটোয়ারার পরে আপনারা যখন পেইজটি করবেন তখন আলাদা আলাদাভাবে অবশ্যই মিউটেশন করে নিবেন। এতে পরবর্তীতে কোন ওয়ারিশ এর সঙ্গে আপনাদের আর ঝামেলা হবে না।

তাছাড়া আপনি যখন মিউটেশন করে নিবেন তখন আপনার জন্য আলাদা খতিয়ান নাম্বার প্রদান করা হবে ভূমি অফিস থেকে। আর এই খতিয়ান নাম্বার ধরে আপনি প্রত্যেক বছরে আলাদাভাবে জমির খাজনা প্রদান করতে পারবেন। এক কথায় জমি কেনার পর আপনি নিজস্ব জমির খাজনা প্রদানের জন্য যখন উপযুক্ত হয়ে যাবেন তখন আপনার মিউটেশন প্রক্রিয়া চালু হয়ে যাবে। আর মিউটেশন প্রক্রিয়া যদি চাল না হয়ে থাকে তাহলে জমির মালিকানা আপনি পুরোপুরি ভাবে পাবেন না।


জমির মিউটেশন কাকে বলে

যখন আপনি কোন জমি ক্রয় করলেন অথবা জমির মালিক হলেন তখন আপনাকে আলাদা ভাবে আপনার নিকটস্থ ভূমি অফিসে খতিয়ান নাম্বার খোলার জন্য বা জমির জন্য আলাদাভাবে খতিয়ান নাম্বার গ্রহণের জন্য আপনাকে জমির মিউটেশন করতে হবে। যে খতিয়ান নাম্বারে আপনি আপনার নিজের নামে অথবা জমির মালিকের নামে প্রতিবছর খাজনা প্রদান করতে পারবেন, সেই খতিয়ান নাম্বার খোলার জন্য যে প্রক্রিয়া এবং ভূমি অফিসে আপনার নামের সেই জমি লিপিবদ্ধ করার প্রক্রিয়ায় হলো জমির মিউটেশন। কোন একটি জমি ক্রয় করে অনেকেই মনে করে থাকে যে তার নামে পুরোপুরিভাবে জমি হয়ে গিয়েছে। অনেকে দখল করে এবং জমি রেজিস্ট্রি করে দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকে।

কিন্তু সেই ব্যক্তি যদি জমির মিউটেশন না করায় তাহলে তার নামে তার নিকটস্থ উপজেলা ভূমি অফিসে নামের হালনাগাদ হবে না এবং তার ক্রয় কৃত জমির জন্য আলাদাভাবে নাম রেজিস্ট্রি থাকবে না। অর্থাৎ তার পূর্বের মালিকের নাম এই খতিয়ান চালু থাকবে এবং পূর্বের মালিক চাইলে ঝামেলার সৃষ্টি করতে পারে। তাই আপনাদের সচেতন ও তার উদ্দেশ্যে এবং নিজের নামে জমির খতিয়ান এ প্রতিবছর খাজনা দেওয়ার উদ্দেশ্যে আপনারা যত দ্রুত সম্ভব জমির মিউটেশন করে ফেলুন।

অনলাইন মিউটেশন

অতীতে সরাসরি নিজ হস্তে ফরম পূরণ করে উপজেলা ভূমি অফিসে মিউটেশন ফরম জমা দিয়ে জমি খারিজ করা লাগতো। কিন্তু তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে বর্তমান সময়ে মানুষ অফিস-আদালতে ঘৃণা জমে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে ভূমি খারিজ বার নামজারি করতে পারছে। তাই আপনার যদি অনলাইন মিউটেশন করার প্রয়োজন হয় তাহলে আপনার নিকটস্থ কম্পিউটারের দোকান থেকে অথবা আপনি নিজেই ঘরে বসে অনলাইন মিউটেশন করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে আপনাদেরকে অবশ্যই www.land.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে যাবতীয় কর্মপ্রণালী সম্পাদন করতে পারবেন। তাছাড়া অতীতে অফলাইনে মিউটেশন করার পদ্ধতি চালু ছিল বলে তখন অনেক সময় লাগতো। তবে বর্তমানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে অনলাইনে মিউটেশন করলে আপনি দুই থেকে তিন মাস সময় এর ভেতরেই জমির মিউটেশন করে ফেলতে পারবেন। তাছাড়া এক্ষেত্রে আপনাকে নির্ধারিত পরিমাণ টাকার বাইরে এক্সট্রা টাকা খরচ করা লাগবে না। নিচে আমরা অনলাইন মিউটেশন করার ক্ষেত্রে কত টাকা খরচ হতে পারে সে সম্পর্কে আপনাদের জানিয়ে দেব।

নামজারী কি ও কেন

যখন অন্যের জমি থেকে নিজের নামে জমি রেজিস্ট্রি করে নিবেন এবং রেজিস্ট্রি করার পরে উপজেলা ভূমি অফিস থেকে নিজস্ব খতিয়ান নাম্বার এ প্রতিবছর খাজনা প্রদান করার সুযোগ পাবেন তখনই আপনার নামজারি করা হবে। অর্থাৎ জমি খারিজ কে আলাদাভাবে নামজারি বলা হয়। নিজের ক্রয় কৃত জমি বা উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া জমি নিজের নামে ভূমি অফিসে লিপিবদ্ধ করা হলো নামজারি। আপনি যতক্ষণ না নামজারি করছেন ততক্ষণ জমির পুরোপুরি মালিকানা আপনার নামে হবে না।

অর্থাৎ আপনি যেখান থেকে জমি ক্রয় করছেন অথবা যে মালিকানার ভিত্তিতে জমি পাচ্ছেন সেই মালিকের নাম এই জমির খতিয়ান হয়ে আছে। তাই জমির খতিয়ান আপনার নামে করতে এবং জমির দাগ নাম্বার আপনার নামে নিশ্চিত করতে আপনাকে নামজারি করতে হবে।

নামজারি জমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে এবং জমির মালিকানা নির্দিষ্ট করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি যদি নাম জানি না করেন তাহলে আপনি আপনার নিজস্ব জমির খাজনা পরিশোধ করতে পারবেন না এবং খাজনা যেহেতু পরিশোধ করতে পারবেন না সেহেতু সেই জমির মালিকানা এখনো আপনার নামে পুরোপুরিভাবে হয়ে যায়নি। তাই নিজের জমি নিজের নামে খাজনা প্রদান করতে হবে এবং এই খাজনা প্রদান করা একটি সরকারি নিয়ম।


আপনি যদি এই সরকারি নিয়মের আওতাভুক্ত না হন তাহলে আপনার জমির সরকারি খাতায় বা উপজেলা ভূমি অফিসে তা লিপিবদ্ধ হবে না। তাই জমির মালিকানা পুরোপুরিভাবে নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে প্রত্যেকটি জমির মালিককে অবশ্যই নিজ নামে নামজারি করতে হবে এবং এই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।

নামজারি করতে কত টাকা লাগে

আমাদের আশেপাশে এমন অনেক মানুষ আছে যাদের ভূমি অফিসের সঙ্গে খুব ভালো যোগাযোগ বা খাতির রয়েছে। সে ক্ষেত্রে আমরা মনে করি যে সে লোকের মাধ্যমে নামজারি করলে আমাদের খুব দ্রুত সময়ে নামজারি হয়ে যাবে। কিন্তু অনেক সময় আমরা ঠক বা প্রতারকের পাল্লায় পড়ে দ্রুত কাজ করার উদ্দেশ্যে বেশি টাকা প্রদান করে থাকি। অনেক সময় সেই টাকা আমাদের থেকে নষ্ট হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে আপনারা যদি নিজ উদ্যোগে নামজারি করতে চান তাহলে তা করতে পারবেন।

বর্তমানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সরকার land.gov.bd ওয়েবসাইটে অনলাইনের মাধ্যমে নামজারি করার ব্যবস্থা চালু করেছে। আপনারা এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে নামজারির ফরম ডাউনলোড করে নিয়ে তাতে সঠিক তথ্য বসিয়ে দিবেন এবং অন্যান্য পেপারস স্ক্যান করে উল্লেখিত ওয়েবসাইট বরাবর আবেদন করলে আপনাদের নামজারি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

তাই অযথা অন্য লোককে টাকা প্রদান না করে যদি নিজ উদ্যোগে করেন তাহলে আপনার টাকা হারিয়ে যাওয়ার কোন ভয় থাকছে না। তাছাড়া আপনারা অতি সামান্য খরচে এই নামজারি করতে পারছেন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে নামজারি করতে গিয়ে 3 থেকে 10 হাজার টাকা খরচ হয়ে যায়। কিন্তু আপনি যদি নামজারি করতে যান তাহলে আপনার মাত্র ১১৫০ টাকা খরচ হবে। আপনার নামজারি করতে রেকর্ড সংশোধন বা হালকরণ ফি হিসেবে 1000 টাকা খরচ হবে।

তারপরে খতিয়ান সরবরাহ বাবদ আপনাকে 100 টাকা খরচ করতে হবে। নোটিশ জারি করার জন্য 50 টাকা খরচ হবে। এই খরচের পরে আপনাদের কোর্ট ফি বাবদ 20 টাকা খরচ করতে হবে। অর্থাৎ 1150 টাকা ভূমি অফিসে নগদ জমা দিলেই আপনারা ডিসিআর সংগ্রহ করতে পারবেন। পরবর্তীতে অতিরিক্ত 20 টাকা দিয়ে আপনাদের কোর্টফি লাগিয়ে তা পুরোপুরি ভাবে সম্পন্ন করতে হবে।

জমি মিউটেশন খরচ

জমি মিউটেশন খরচ অথবা নাম জানি খরচ একই বিষয়। তাই যারা জমি মিউটেশন খরচ জানতে চেয়েছেন তারা উপরের নামজারি করতে কত টাকা লাগে তা জেনে নিন। তাই জমির মিউটেশন খরচ বাবদ কত টাকা খরচ হতে পারে তা আপনাদের জন্য আলাদা ভাবে তুলে ধরার প্রয়োজন বোধ মনে করিনা। তাই আপনারা নামজারি করতে কত টাকা লাগে সেটি খুব মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।

নামজারী / মিউটেশন ফর্ম

নামজারি অথবা মিউটেশন ফরম আপনারা ঘরে বসেই সংগ্রহ করতে পারবেন বর্তমানে। উপরে উল্লেখিত ওয়েবসাইট অর্থাৎ www.land.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে আপনারা নামজারী বা মিউটেশন ফরম ডাউনলোড করতে পারবেন। তাছাড়া অনলাইনের মাধ্যমে সেখানে আপনারা যে সকল তথ্য চাওয়া হয়েছে সেগুলো সঠিকভাবে পূরণ করে সাবমিট করতে পারবেন।

যারা নামজারী বা মিউটেশন ফরম কোন কম্পিউটারের দোকান থেকে করতে চাচ্ছেন তারা সেখান থেকে করে নিতে পারেন এবং অবশ্যই সেই লক্ষ্যে অভিজ্ঞ হতে হবে। আর যারা নামজারী বা মিউটেশন ফরম নিজের থেকে পূরণ করতে চান তারা বিভিন্ন ভিডিও পাবেন ইউটিউবে। বিশ্বস্ত পেজের ইউটিউব ভিডিও গুলো দেখে আপনারা নামজারি ফরম ডাউনলোড করে নিবেন এবং সেই অনুযায়ী ফরমেট তথ্য গুলো সঠিকভাবে পূরণ করবেন।

জমি মিউটেশন করার পদ্ধতি

জমি মিউটেশন করার পদ্ধতি এখন আপনাদের উদ্দেশ্যে আমরা আলোচনা করব। আপনি যদি জমি মিউটেশন করতে চান তাহলে সর্ব প্রথমে আপনাকে উপরের উল্লেখিত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেন মিউটেশন ফরম বার নামজারি ফরম ডাউনলোড করে নিতে হবে। সেই ফ্রম সঠিকভাবে পূরণ করে আপনারা তার সঙ্গে কিছু কাগজপত্র সংযুক্ত করবেন। যে সকল কাগজপত্র সংযুক্ত করবেন সেগুলো হলো 20 টাকার কোট ফি সহ যে আবেদন ফরম পূরণ করেছেন সে আবেদন ফরম এর মূল কপি, যার নামে আপনারা নামজারি করবেন তার এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংযুক্ত করতে হবে। যার নামে আপনারা জমি মিউটেশন করবেন সেই ব্যক্তির জাতীয় পরিচয় পত্রের সত্যায়িত অনুলিপি লাগবে।

অতীতের যদি ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করা না থাকে তাহলে আপনারা শেটা পরিশোধ করবেন এবং সেই পরিশোধ করার রশিদ সংগ্রহে রাখতে হবে। অনেকে আছেন যারা উত্তরাধিকার সূত্রে জমির প্রাপ্ত হয়ে থাকেন। যদি উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া জমির মিউটেশন করতে চান তাহলে তিন মাসের মধ্যেই আপনাদের দলিলের সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করতে হবে এবং সেই সার্টিফাইড কপি আপনাদের সেই মুহূর্তে কাজে লাগবে। আর যদি আপনারা ডিক্রির মাধ্যমে জমি কিনে থাকেন তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনাদের ডিগ্রির সার্টিফিকেট কপি বা ফটোকপি সংগ্রহ করে তা জমা দিতে হবে।

আপনারা উপরে উল্লেখিত কাগজপত্র সহকারী ভূমি কমিশনার এর নিকট একটি আবেদন দাখিল করবেন। সেখানে আবেদনপত্রসহ কাগজপত্র দাখিল করা হলে সেটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে চলে যাবে এবং তাদেরকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য বলা হবে। ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে সেটি দেখা হয়ে গেলে আবার সরকারি ভূমি অফিসে চলে আসবে। তখন আপনাদের একটি নির্দিষ্ট শুনানির ডেট দেওয়া হবে। উল্লেখিত তারিখে আপনারা সেখানে উপস্থিত হয়ে সহকারী ভূমি কমিশনার সাক্ষাতে একটি শুনানি প্রদান করা হবে। তারপরে শুনানির সঙ্গে একটি কাগজ প্রদানের মাধ্যমে আপনাদের জমি খারিজ হয়েছে বা মিউটেশন হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত করা হবে।

ই নামজারি করার নিয়ম

উপরে উল্লেখিত নিয়ম অনুসারে আপনারা সরেজমিনে উপজেলা ভূমি অফিসের নিকট আবেদন করে নামজারি করে নিতে পারবেন। তাছাড়া আপনারা যদি ই নামজারি করতে চান, তাহলে উপরে উল্লেখিত ওয়েবসাইটেই আপনাদের সকল কাজ সম্পন্ন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করার জন্য আবেদনপত্র পূরণ করবেন সঠিকভাবে। সে ক্ষেত্রে যে সকল তথ্য প্রদান করা হয়েছে সেগুলো আপনারা সঠিকভাবে পূরণ করবেন। তাছাড়া উপরে যে সকল কাগজপত্রের কথা বলা হলো সেগুলো আপনাদের স্ক্যান করে আবেদনপত্রের সঙ্গে সকল তথ্য সাবমিট করতে হবে।

ঠিক একই প্রক্রিয়া তে আপনাদের আবেদনপত্র সহকারি ভূমি অফিস থেকে উপজেলা ভূমি অফিসে চলে যাবে এবং সেখান থেকে যখন বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে তখন আবার সেই তথ্য হালনাগাদ চলে আসবে সহকারি ভূমি অফিসে। তারপরে পরবর্তীতে আপনাদের এসএমএসের মাধ্যমে শুনানির একটি তারিখ দেওয়া হবে অথবা মোবাইল ফোন করে জানিয়ে দেওয়া হবে। ঠিক একইভাবে আপনারা নির্দিষ্ট দিনে আপনাদের উপজেলা ভূমি অফিসে উপস্থিত হয়ে সাক্ষাতে শুনানীর আদেশ পেয়ে যাবেন এবং আপনাদের ই-নামজারি হয়ে যাবে।

আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা জমির মিউটেশন বা নামজারী বা খারিজ করা ইত্যাদি তথ্য জানতে পেরেছেন। তাছাড়া ই নামজারি করার ক্ষেত্রে আপনারা যদি বিস্তারিত তথ্য জানতে চান এবং সরেজমিনে কিভাবে তা করে তা দেখতে চান তাহলে অনলাইনে ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে সে সকল তথ্য খুব সুন্দর ভাবে জানতে পারবেন। আপনারা যদি নিজে থেকে ঘরে বসে নামজারি করতে চান তাহলে সবার প্রথমে ইউটিউব থেকে একটি ভালো মানের ভিডিও দেখে নিবেন এবং সেই অনুযায়ী কাজ করলেই আপনার মিউটেশন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যাবলী সম্পাদন করা যাবে।

সকলের সুস্থতা কামনা করে এই পোস্ট এখানেই শেষ করছি। এই পোষ্টের যদি কোথাও কোন ধরনের ভুল ভ্রান্তি থাকে তাহলে তার নিজ গুনে ক্ষমা করবেন। এই বিষয়ে যদি আপনারা আরো কোন ধরনের তথ্য জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের মন্তব্য বক্সে জানিয়ে দিন। এই পোষ্টের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।